বরিশাল দক্ষিণে সাত বছর আগের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি আর উত্তরের দশ বছর আগে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপির কার্যক্রম।
বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। সাত বছর আগে দক্ষিণে সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি আর উত্তরে দশ বছর আগে কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি। তৃণমূল বলছে, দু’মাসের জন্য গঠিত সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পার করছে সাত বছর। যা সাংগঠনিক বেহাল অবস্থার বড় কারণ।
এদিকে নতুন কমিটি হচ্ছে এরকম ঘোষণায় শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। জমা পড়েছে একাধিক কমিটিও। নেতাকর্মী বলছেন, কেন্দ্রে থেকে চাপানো নয়, কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে নতুন নেতৃত্ব চান তারা।
বরিশাল উত্তর জেলার কমিটি হয় ২০১০ সালে। গঠনতন্ত্রে দুবছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করার কথা থাকলেও তা চলছে দশ বছর ধরে।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ সভাপতি ও আকন কুদ্দুসুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা কমিটির অনেকেই বয়সের ভারে নূয়ে পড়েছেন। কেউবা মারা গেছেন অসুস্থতায়। তাই দলকে চাঙ্গা করতে সম্মেলনের বিকল্প নেই বলে দাবি নেতাদের।
বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, আমরা নতুন কমিটি চাই, নতুন নেতৃত্ব চাই। এজন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে আগেই আবেদন করেছি। আমাদের জানিয়েছে খুব দ্রুত কমিটি দেয়া হবে।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন বাচ্চু বলেন, দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম আর সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রাখতে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। দলকে গণতান্ত্রিকভাবে গঠিত না করা গেলে মানুষ দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
২০১৩ সালে এবায়দুল হক চাঁনকে সভাপতি, আবুল কালাম শাহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়। সাত বছরেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। স্থানীয়দের দাবি এর ফলে আন্দোলনে রাজপথে কর্মী না পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন বলেন, তৃণমূল থেকেই দলকে সংগঠিত করতে হবে। যারা ত্যাগী, দলের জন্য কাজ করে তাদেরকে মূল্যায়িত করেই কমিটি করতে হবে।
উত্তর জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনীতির নামে নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়ভাবে দুর্বৃত্তায়ন করে নিয়িন্ত্রণ করা কারোই কাম্য না। আমি মনে করি না বরিশালে এ ধরণের জাতীয় দুর্বৃত্তায়নের কোন চরিত্র আছে।
কমিটি জমা দেয়া হলেও দলে একক আধিপত্য ভাঙতে অনড় নেতারা। তারা বলছেন, কমিটি হবে সবার সমন্বয়ে, স্থানীয় একক কারো সিদ্ধান্তে নয়।
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি করা হবে। ব্যক্তি পছন্দের উপরে কমিটি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, সিলেকশন নয়, ইলেকশনে কমিটি হলে ত্যাগীরা মূল্যায়িত হবে।