বাজারের গরম সামলানোই যেন দায়। চলছেই নৈরাজ্য। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল-ডাল-আটা, ময়দা-সুজিসহ প্রায় সব পণ্যেরই। স্বস্তি নেই সবজিতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযানেও হচ্ছে না কাজ।
গরমে চরমে অতিষ্ঠ নগরজীবনে মিলছে না একদণ্ড স্বস্তির খোঁজ। বাজারের চড়া দামে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।
ভরা মৌসুমেও অস্থির চালের বাজার। প্রায় প্রতি ধরনের চালের ৫০ কেজি বস্তায় দাম বেড়েছে অন্তত ২০০ টাকা। যার পেছনে সিন্ডিকেটের সেই পুরোনো অজুহাত।
এক বিক্রেতা বলেন, অগ্রহায়ণ সিজনে চাল এসেছে, তাও দাম বেড়ে গেছে। এখন বৈশাখ সিজনে আসছে, তাও বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
নৈরাজ্য আটা-ময়দা-সুজি-চিনি দামেরও। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। আর ডালের বেড়েছে ১০।
আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে ভারতীয় মসুর ডাল ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি। এখন তা হয়ে গেছে ১১০। দেশি মসুর ডাল ছিল কেজিপ্রতি ১২০ টাকা। বর্তমানে হয়ে গেছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আটা ছিল ৪০ টাকা কেজি। এখন তা ৫০ টাকা।
সবজির বাজারে গরমের সবজির আধিক্য থাকলেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। রসুনের দাম আবারো আকাশচুম্বী।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই।
আরেক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। নিম্ন শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
দাম বৃদ্ধির এসময়ে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার ১০ থেকে ১৫, পাকিস্তানি মুরগি ২০ আর দেশি মুরগিতে দাম কমেছে অন্তত ৫০ টাকা।
এক বিক্রেতা বলেন, এ সপ্তাহে কমেছে। আবার হয়তো তা বেড়ে যাবে।
বাজার সামাল দিতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলছে। তবে জরিমানা আর সতর্কতার পরেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কোনও বিক্রি করা যাবে না। তবু তা অমান্য করা হচ্ছে। এ অভিযোগে আজ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।’
আগামী বাজেট ঘোষণার পর বাজার পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে সংশয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা।