মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় জমি দখল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা আব্দুল খালেকসহ দুই জন।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার পূর্ব কুষ্টিয়া এলাকায় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ যুবলীগের আরেক কর্মী আহত হন।
আব্দুল খালেক বলেন, তার এক খালাতো ভাইয়ের চাচার সঙ্গে ৩২ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় আতাউর রহমান আতা গং দের সাথে বিরোধ রয়েছে। এসব বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও চলমান। সকালে ওই জমিতে গেলে আতাসহ স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মারধর করেন। পরে তিনিসহ যুবলীগের আরেক কর্মী গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আতাউর রহমান আতা বলেন, তিনিসহ স্থানীয় চারজন মিলে ৩২ শতাংশ জমি বাড়ি করার জন্য ক্রয় করেন। যার সকল প্রকার কাগজ পত্রাদিও রয়েছে। এছাড়া ওই জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ বাচ্ছু মিয়ার সাথে আদালতে মামলাও চলমান। সকালে যুবলীগের নেতা আব্দুল খালেকের নেতৃত্ব ১৫/২০ জন নেতা কর্মী এসে জমি দখল করতে যায়। অথচ ওই জমির সাথে খালেকের কোন অস্তিত্ব নেই।
এছাড়াও ওই নেতাকর্মীরা স’মিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় স’মিল শ্রমিক মজনু মিয়াও আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেককে প্রায় এক বছর আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা.সজিব সরকার বলেন, মারামারির ঘটনায় খালেকসহ দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। খালেকের বাম চোঁখের উপরে কুপের আঘাত রয়েছে। সেখানে সেলাই করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা মুঠোফোনে জানতে পেরেছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিতভাবে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।