বান্দরবানের লামায় দুই শিশুসন্তানকে ঘরে আটকে রেখে প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই নারীকে মারধর এবং বসতবাড়িতে লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার রুপসী পাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী তার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন। গত বুধবার দিনগত গভীর রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় তার দুই শিশুকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতভর গণধর্ষণ ও মারধর করা হয়। ধর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ গৃহবধূর।
সকালে পার্শ্ববর্তী এক নারী ওই বাড়িতে পানি আনতে গেলে ঘরের জানালা দিয়ে দুই শিশুকে কান্না করতে দেখেন। তিনি এগিয়ে গেলে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাড়ির পেছনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখেন। পরে জানাজানি হলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে।
লামা থানা উপপরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় রশি কেটে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। দোষীদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।