মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় জ্বালানী কাঠ কাটতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ৫ বাংলাদেশিকে বেধড়কভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে পিটিয়ে ফেলে গেলে পরিবার সদস্য ও গ্রামবাসীরা রাতে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে কাঠালকান্দি বিওপি সীমান্তের ১৮৮৩ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
বিএসএফের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া বাংলাদেশীরা হলেন, কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাঁঠালকান্দি গ্রামের আলিক মিয়া (২৫), হাবিব মিয়া (২০), আফজাল মিয়া (২৭), নাজির মিয়া (৩৫) ও জমির মিয়া (৫০)। আহতদের মাঝে আফজাল ও নাজির মিয়ার অবস্থা গুরুতর এবং জমির মিয়া কমলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে, বুধবার দুপুরে একই সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম, সাজু, মোস্তাকিম, আফরোজ, ময়নুল, হারুন, শফিক ও আরিফ নামের আরও ৮ বাংলাদেশিকেও বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়। তাদের বাড়িও আদমপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাঁঠালকান্দি গ্রামে বলে জানা গেছে।
নির্যাতনের শিকার হওয়া পূর্ব কাঁঠালকান্দি গ্রামের আজাদ মিয়া ও চিৎলীয়া গ্রামের জমির মিয়া জানান, মঙ্গলবার বিকালে দিকে আদমপুরের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে কাঠ কাটতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারাসহ ৫ জনকে ধরে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে সন্ধ্যা পর নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ফেলে যায়। তাদের পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামবাসীরা রাতে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়।
আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে নির্যাতনের শিকার এক ব্যক্তি এসে তাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। বুধবার সকালে আরও ৮ জনকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ ছেড়ে দেয়।”
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলের ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, “শুনেছি পাহাড়ি নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় গাছ কাটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভারতের অংশে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করেছিল। তখন বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের ধাওয়া করে। কাউকে মারধর করার বা ধরে নিয়ে যাওয়ার মত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।”