সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের মামলা বিচারের জন্য ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এই মামলায় পলাতক দুই আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে হাজিরে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির এই আদেশ দিলেন। একইসঙ্গে বদলি আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ হয়। সেই অনুযায়ী বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা আদালতে দাখিল করেন।
এই মামলায় মোট চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের কর্মকর্তা। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এ দু’জনই কারাগারে আছেন।
গত বছর ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত বছর ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করলে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
ওই মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় ডিআইজি মিজান। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। সেই মামলাটি বিচারের জন্য চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।