১৮৫৭ সালে নিউইয়র্কের বস্ত্র শিল্পের নারী শ্রমিকদের আন্দোলনের ইতিহাসকে স্মরণ রাখার জন্য ১৯১০ সালে জার্মান নারী শ্রমিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন প্রথম এই দিবসটি পালনের আহ্বান জানানোর পর থেকে পৃথিবীর দেশে দেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সারাবিশ্বের সাথে আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
কবির ভাষায় `বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,/অর্ধেক তার নর’- সমাজে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষাসহ দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, থাকতে হবে শক্তিশালী নেতৃত্ব । নারীরা এগিয়ে গেলে দেশও এগিয়ে যাবে। নারীদের পিছনে রেখে দেশে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশের সব গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে একসাথে লড়াই করতে হবে।
পারিবারিক ও সামাজিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নারীরা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। পোশাকশিল্প তথা গার্মেন্টস, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্তশিল্পজাত পণ্য, চা শিল্প প্রভৃতিতে মোট শ্রমিকের বেশিরভাগই নারী। সারাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলছে নারীরা। তাদের অবদানে ঘুরছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
এদেশের মানবাধিকার কর্মী ও নারী নের্তৃত্ব দানকারীদের নিরন্তর লড়াই নারীদের এই সাফল্যের পেছনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
তবে এখনো এদেশের নারীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, হচ্ছেন নানান বৈষম্যের শিকার । তবে হাল না ছেড়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানান বৈষম্য-নির্যাতনের শিকার হয়েও নারীরা বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। নারী-পুরুষের সমতার বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, কাজ করতে হবে একযোগে।
লেখক: আনোয়ার-ই-তাসলিমা প্রথা
চেয়ারম্যান: সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি
প্রকাশক: সৃষ্টি বার্তা ডটকম