পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২ জুন) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক গুলোতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া, সংক্ষিপ্ত সময়ে সকল বর্ষের ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া, সেশন জট এড়াতে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা, অবিলম্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমাদের ক্লাসে থাকার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ক্লাসের জন্য রাজপথে নামতে হয়েছে। আমরা এই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ থেকে মুক্তি চাই। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ সময় দীর্ঘ সেশনজট নিরসনে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিমালাও দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে বৃপস্পিতিবার একটি সভা ডেকেছি। সেখানে সকল ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। এই সার্বিক পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিচালনা করা যায়, তার একটি অভ্যন্তরীণ নীতিমালা তৈরি করার চেষ্টা করবে প্রশাসন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা এবং রাবি শিক্ষক সমিতির অনুরোধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৩১ মে) স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।