ads
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন

বিস্ফোরক মামলার আলামতে বিস্ফোরক দ্রব্যই নেই!

সৃষ্টিবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৮ বার পঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় সম্প্রতি পাঁচলাইশ থানায় পুলিশের দায়ের করা এক মামলার জব্দ তালিকায় বিস্ফোরকের কোনো উপাদান নেই। বিষয়টি হাস্যকর করে মন্তব্য করেছেন আইনজীবীরা। তাদের মতে বিস্ফোরক আইনের মামলায় আলামত হিসেবে জব্দ তালিকায় বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্যের উপাদান থাকতেই হবে। বিস্ফোরকের কোনো উপাদান আলামত হিসেবে পাওয়া না গেলে অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না। মামলাও টিকবে না।

এছাড়া মামলার এজাহারেও আছে নানা গড়মিল। এজাহারে ককটেল বিস্ফোরণে কতজন আহত হয়েছেন সে বিষয়েও বলা হয়নি। আলামত হিসেবে দেখানো হয়েছে কাঠের লাঠি, ইট, পাথরের টুকরা ও লোহার রড।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দাবির মুখে চসিক প্রকৌশলী বরখাস্তবৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দাবির মুখে চসিক প্রকৌশলী বরখাস্ত
সিনিয়র আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিস্ফোরক আইনের মামলায় আলামত হিসেবে জব্দ তালিকায় বিস্ফোরক দ্রব্যের উপাদান থাকতেই হবে। তা না হলে মামলাটি দুর্বল হয়ে গেছে। অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না।’

গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন মো. ফারুক (৩২), ফয়সাল আহমেদ (২০) ও মো. ওয়াসিম (২২)। এর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম ছুরিকাঘাতে বাকি দুজন গুলিতে মারা যান। ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী, ফয়সালনগরের ওমর গণি এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। দুটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে ৬ হাজার জন করে আসামি করা হয়। বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা ওই মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ১৬ জুলাই বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিটে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা ও ছাত্রলীগ যুবলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়ে মারে। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্রলীগ কর্মী ও কোটা বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।

এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী একটি ভবনের উপরে উঠে। সেখানে তাদের ধাওয়া দিলে পাইপ বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তবে বিস্ফোরণে কেউ আহত হয়েছেন কিনা এজাহারে বলা হয়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনার দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে মামলার বাদী এসআই দীপক দেওয়ান তার থানার দুই কনস্টেবল দেবাশীষ বড়ুয়া ও খোকন দাশকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে জব্দ তালিকা তৈরি করেন।

এ সময় তিনজন স্থানীয় ব্যক্তিকেও জব্দ তালিকায় সাক্ষী হিসেবে রাখেন। জব্দ তালিকায় রয়েছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সাতটি বিভিন্ন সাইজের কাঠের লাঠি, দশটি ইটের টুকরা, পাঁচটি পাথরের টুকরা, চারটি বিভিন্ন সাইজের লোহার রড ও ছয়টি বিভিন্ন সাইজের এসএস পাইপ। মামলাটির তদন্ত চললেও গত ২৭ দিনে নতুন কোনো আলামত যুক্ত হয়নি। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৪০ জন।

মামলার বাদী পাঁচলাইশ থানার এসআই দীপক দেওয়ান বলেন, ‘ওই সময় আলামত পাইনি। যা পেয়েছি সেগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।’

পুলিশের করা জব্দ তালিকার সাক্ষী মুরাদপুর এলাকার চা-বিক্রেতা মো. শামীম বলেন, ‘বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা আমি জানি না। পুলিশ নাম-ঠিকানা চেয়েছে দিয়েছি।’

বিস্ফোরক মামলার আলামতে বিস্ফোরকের কোনো উপাদান আলামত হিসেবে না থাকাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুর রশিদ। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, এতে মামলা দুর্বল হয়ে যাবে। বিস্ফোরক মামলা প্রমাণ করতে হলে আলামত পরীক্ষায় বিস্ফোরক পেতে হবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102