কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জাআলী স্টেশন নামক পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত ব্যক্তি রামুর দক্ষিণ খুনিয়া পালং গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে নুরুল হক।

জানা গেছে, মুজিববর্ষে অসহায় পরিবারদের ঘর নির্মাণের জমি পরিদর্শনে গিয়েই কক্সবাজারের রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা দেখতে পান গুহায় বসে এক যুবক মোবাইলে কথা বলছেন। সন্দেহজনক মনে করে ইউএনও ওই যুবককে ডাকতেই বের হয়ে আসে ইয়াবার চালানের একটি প্যাকেট।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জাআলী স্টেশন নামক পাহাড়ি এলাকার দৃশ্য এটি। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পাহাড়ি গুহা থেকে ৩ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা নিয়ে যুবককে আটকের পর দেখা গেল পাশেই অন্য দুই যুবক প্রকাশ্যে একদম দেদারছে পান করছে মদ। সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে মদ্যপানরত ওই দুজনকেও আটক করা হয়। পরে তাদের তিনজনকেই সোপর্দ করা হয় রামু থানা পুলিশের কাছে। ধৃত অপর দুজন হচ্ছে একই এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে আব্বাস খান ও সৈয়দ আলমের ছেলে মো. কায়ছার।

আটক নুরুল হকের ভাষ্যমতে, আগামী শুক্রবার তার বিয়ের দিন ধার্য রয়েছে। বিয়েতে একটু বাড়তি ধুমধামের জন্য টাকার প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত নিল, একমাত্র ইয়াবাই ভাগ্য খুলে দিতে পারে। পরে কারবারিদের গুদাম থেকে ৩ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা নিয়ে আসলো, বিক্রি করবে খুচরায়। এদিকে বিয়ের টাকা যোগাড়ের জন্য সেই ইয়াবার পুটলি নিয়ে গেল খুনিয়া পালং ইউনিয়নের মির্জালি স্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকার একটি গুহায় বসে সে মোবাইলে ডাকছিল বেশ কয়েকজন ক্রেতাকে। এ সময় সেখানে পৌঁছান রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা। পরে তাকেসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আটক নুরুল হক পুলিশের কাছে তার বিয়ের কথা থেকে সবকিছুই অকপটে শিকার করেছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করেছে। অপর দুই মদ্যপায়ী যুবককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।