সদ্যবিবাহিত মেয়েকে বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের অভিযোগ, বিয়ের পরেও প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনেই নিজের মেয়েকেই গুলি করে হত্যা করেন বাবা চন্দ্রমোহন সিং। এরপর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের জয়সিংপুরে।
চন্দ্রমোহন সিং পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই কানপুরের নগেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে স্বাতীর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার অভিযোগ তুলতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার স্বাতীকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় তারা। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় চন্দ্রমোহনের। কিন্তু মেয়ে কোনোভাবেই নিজের সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানতে রাজি হয়নি। এরপরই নিজের লাইসেন্স করা বন্দুক থেকে মেয়ের বুকে তিনটি গুলি চালান চন্দ্রমোহন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বাতীর।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কল করেন চন্দ্রমোহন। পরে পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই স্কুটার চালিয়ে থানায় হাজির হন তিনি। চন্দ্রমোহনের দাবি- মেয়েকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। সব শুনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য স্বাতীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চন্দ্রমোহনের লাইসেন্স করা বন্দুকটিও জব্দ করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না স্বাতীর মা ও ভাইয়ের। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।