ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে যেতে হবে। খুনিদের দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে, যাতে স্বৈরাচারী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আগামীকাল বুধবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণহত্যার বিচার এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ফয়জুল করীম বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার নিজেদের অভিশপ্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিলো। শুধু আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সবাই ছিলো মাজলুম আর তারা ছিলো জালিম। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, অধিকার হরণ, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুন এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়াসহ হেন কোন কাজ নেই, যা তারা করেনি। ফলশ্রুতিতে আপমর জনসাধারণ ছাত্রবিক্ষোভের সাথে নিঃস্বার্থভাবে একাত্বতা পোষণ করে এবং স্বৈরাচার পতনের একদফা দাবীতে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়। অগণন ছাত্র-জনতার জীবন, রক্ত ও হতাহতের মধ্য দিয়ে এই দেশবিরোধি অপশক্তির পতন হয়। সুতরাং এই সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের জমিনে আর রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। অতএব তাদের প্রতি নম্রতার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্র্বথীকালীন সরকারে যারা দায়িত্বে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে এদেশের মানুষ। যে বক্তব্যে দেশের মানুষ ক্ষব্ধ হয়, দ্বিধাবিভক্ত হয়, দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য ছাত্র-জনতা প্রত্যাশা করে না। এদেশে ভারতের মতো প্রকৃত অর্থে কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় নাই। কারণ, এদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ। অতীতে যতো হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ হয়েছে, সব হয়েছে রাজনৈতিক হীন স্বার্থে। আজকে যারা সংখ্যালঘু ট্রাম কার্ড ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারাই মূলত সংখ্যালঘুদের শত্রু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকরিয়া, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আব্দুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, মাওলানা খলিলুর রহমান,অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম।