করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবেলা করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। তারপর ও যেন করোনার সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে সরকার। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে হাজার, দেড় হাজার মানুষ। আর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অর্ধলক্ষ রোগী। এই সব রোগীদের সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।
ভ্যাকসিন আসাতে আশার আলো দেখছে ব্রিটেনের মানুষ। কিন্তু সেই আসার আলো ম্লান হয়ে যায় প্রতিদিনের মৃত্যু সংখ্যা দেখে। সরকার এবং এনএইচএস ব্রিটেনের হাসপাতাল গুলি ছাড়া ও বেশ কয়েকটি বৃহৎ স্থানকে নির্ধারণ করা হয়েছে ভ্যাকসিন সেন্টার হিসেবে। সেই সব স্থান সহ হাসপাতাল এবং জিপি মিলে এ পর্যন্ত ২.৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এদের বেশীর ভাগই হচ্ছে ৭০ বৎসরের উপরের বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ্য রোগী, কেয়ার হোম, সেই সাথে ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের।কিন্তু এর পরও মৃত্যুর সংখ্যা থামানো যাচ্ছেন কোনভাবেই।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন,”ভ্যাকসিন সেন্টার গুলি এখন থেকে ২৪-৭ খোলা থাকবে। অবশ্য প্রতিদিন সকাল ৮.টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত খোলা আছে। সেবার মান বাড়াতে এবং যাতে আরো বেশী মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় এ জন্য এখন ভ্যাকসিন সেন্টার গুলি প্রতিদিন নন স্টপ ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হবে। এবং এই করোনার লক ডাউনের মাঝেও বেশী মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে”।
বরিস জনসন বলেন,”যে ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলি “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” ২৪-৭ এ স্থানান্তরিত করব। জাতীয় লকডাউনের অধীনে ইংল্যান্ডের লোকদের অবশ্যই ঘরে বসে থাকতে হবে । কেবল সীমিত কারণে বাইরে যেতে পারবেন। এর মধ্যে খাবারের কেনাকাটা, অনুশীলন বা কাজের জন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি কেউ বাড়ি থেকে কাজ করতে না পারেন তবে বাহিরে কাজে যেতে পারবেন। বাহিরে গেলে অবশ্যই মুখে মাক্স সহ সোসাল ডিস্টেন্স রক্ষা করে চলতে হবে”।
বরিস জনসন আরো বলেন “আমরা করোনার বিষয়গুলি নিয়ে পর্যালোচনার অধীনে রাখি। “যদি নিষেধাজ্ঞাগুলি কঠোর করার কোন দরকার হয় তা আমরা অবশ্যই ব্যাবস্থা নেবো। আমরা লকডাউন ব্যবস্থাগুলি স্থানে রেখেছি চার স্তরের ব্যবস্থাগুলির সাথে একত্রিত করেছি যা কিছু প্রভাবের লক্ষণ দেখাতে শুরু করেছে এবং আমাদেরও এটি গ্রহণ করতে হবে।”
ভ্যাকসিন মিনিস্টার নাদিম জাওয়াই বলেন,” আগামী ২/১ মাসের মধ্যেই সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ব্রিটেন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে কিন্তু সামাজিক দূরুত্ব রক্ষার কারনে ভ্যাকসিন দিতে বিলম্ব হচ্ছে । ভ্যাকসিন সেন্টার গুলি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিলে অতিদ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে”।সেই সাথে আমরা সবাই মিলে করোনাভাইরস মহামারি মোকাবেলা করতে পারবো,”।