গত ১০ দিনে ভারতজুড়ে লাখ লাখ পাখির মৃত্যু হয়েছে। অনেক এলাকায় হাঁস-মুরগী, কাক ও অতিথি পাখির মরদেহে বার্ড ফ্লু শনাক্তের পর ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
এখনো কাটেনি করোনার ভয়। এরইমধ্যে ভারতের হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা ও রাজস্থানে লাখ লাখ পাখির মৃত্যু। মধ্য প্রদেশে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। মৃত পাখি সাবধানে মাটি চাপা দিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। পোল্ট্রি খামার ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল লেক ও জলাশয়গুলোতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
গত ১০ দিনে হরিয়ানাতে পোল্ট্রি খামারে চার লাখ মুরগী ও রাজস্থানে তিনশ’র বেশি কাক মারা গেছে। এছাড়া হিমাচলে আড়াই হাজার ও কেরালায় ৩৬ হাজারের বেশি বিভিন্ন পাখির মৃত্যু হয়েছে।
কেরালার পাশের রাজ্য কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতেও ১২ হাজারের বেশি হাঁস মারা গেছে। হিমাচল প্রদেশের পাশের রাজ্য হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কয়েকটি এলাকায় মৃত পাখির দেহে এইচ-ফাইভ-এন-এইট ভাইরাস শনাক্তের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মধ্য প্রদেশে এরইমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত এক বছর ধরে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। এরমধ্যে নতুন করে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মধ্য প্রদেশের ইন্দোর ও মান্দসুর এলাকায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ২০ জনের শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা গেছে।
অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল বিভিন্ন লেক ও জলাশয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাখির মরদেহ পাওয়া গেলেই তা পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্ক ও চিড়িয়াখানাগুলোকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।