কুমিল্লা নগরীর চর্থায় অবস্থিত কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ও এর হোস্টেল। কলেজটির দক্ষিণে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল।
কলেজের পশ্চিম দিকের রাস্তা রাণীদিঘি হয়ে চলে গেছে কান্দিরপাড়ের দিকে। কলেজের একটু পশ্চিমেই সালাউদ্দিন মোড়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত হওয়ায় কলেজটিতে সবসময় আলো ঝলমলে পরিবেশ থাকে।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে এই আলো ঝলমলে কলেজের হোস্টেলে মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রীদর অভিযোগ, রাত হলে তারা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়। এ আওয়াজ সহজে বন্ধ হয় না। আওয়াজ শুরু হলে রাতে সবাই জবুথবু হয়ে বসে থাকে।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হুজুর ডেকে হোস্টেলে মিলাদ পড়ানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোস্টেলটির একটি ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নড়বড়ে ভবনটিতে বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে পড়ে। বাতাস ও ভূমিকম্প সবাই আঁতকে ওঠে। অপরদিকে, হোস্টেলের পূর্ব দিকে বখাটেদের আনাগোনা আছে। এর আশেপাশে প্রায়ই প্রকাশ্যে গাঁজা খায় তারা। রাতেও সেখানে তাদের উৎপাত রয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা অদ্ভুত শব্দ শুনে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টেলের একাধিক ছাত্রী জানান, করোনাভাইরাসের সময়ে ছাত্রীরা হোস্টেলে ছিল না। তখন হোস্টেলের ভেতর থেকে অনেক ছাত্রীর জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। পরে বেশ কয়েকজন ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে এ সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। তবে কিছু ছাত্রীর ধারণা, এখানে আসলেই ভূতের উৎপাত আছে।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাছের বলেন, “মেয়েরা ভয় পেয়ে আমাকে জানিয়েছে। তাই মিলাদ পড়িয়েছি। পরিত্যক্ত ভবন ও বখাটেদের উৎপাতের বিষয়টি সঠিক নয়। হতে পারে বিড়াল কান্না করেছে অথবা অন্য কোনো বিষয়।”