মাদারীপুর শহরবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র ‘শকুনি লেক’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শকুনি লেকের পরিবেশ সহজেই মনকে প্রশান্ত করে তোলে। লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে জেলার বাইরে থেকেও আসছেন লোকজন।
সকালের নির্মল হাওয়া বা বিকেলের পায়চারি কিংবা অবসর সময় কাটাতে মাদারীপুর শহরবাসী বেছে নেন দৃষ্টিনন্দন শকুনি লেককে। ১৯৪২-৪৩ সালে মাদারীপুর শহরের শকুনি মৌজার অসমতল এলাকায় ২০ একর জমি নিয়ে খনন করা হয় লেকটি।
২০১৬ সালে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ করে লেকের উন্নয়ন কাজ করা হয়। এর আওতায় লেকের চারপাশে ওয়াকওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, রেস্টুরেন্ট, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শিশুপার্ক, মুক্তমঞ্চসহ বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা তৈরি করা হয়। এখন শহরবাসীর বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে লেকটি। দূরদূরান্ত থেকে সৌন্দর্যপিপাসু অনেকে প্রতিদিন আসেন লেকের পাড়ে।
শকুনি লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো সুন্দর করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এই লেকটি নিয়ে আমাদের আরো পরিকল্পনা আছে। একটি ওয়াটার ড্যান্স হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো সুন্দর করা হবে। লোকজন যেন এসে আরো আনন্দ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে চারদিকেই।’
ঐতিহ্যবাহী শকুনি লেকটি দ্রুত দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা মাদারীপুরবাসীর।