বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে দেশি-বিদেশি ১২টি মানবাধিকার সংস্থা। ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এ বছরের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের স্লোগান হচ্ছে ‘সকলের জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’। কিন্তু এমন সময় এই দিবসটি পালিত হতে যাচ্ছে যখন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ার দিকে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা মানবাধিকার সংস্থাগুলো হচ্ছে, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, মায়ার ডাক, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, অধিকার এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন এগেইনস্ট টর্চার।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, অগণতান্ত্রিক চর্চা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কার্যকর প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতির কারণে ব্যাপক দায়মুক্তি দেখা দিয়েছে। বর্তমানের কর্তৃত্ববাদী সরকার বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে জনগণকে সুশাসন ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে। পাশাপাশি তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে চরমভাবে দমন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন এগেইনস্ট টর্চার’সহ মোট আটটি প্রধান আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশ সরকার এসব চুক্তির অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনা সহ মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে।