ads
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

মারা গেছে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের একজন

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
  • ৫৭ বার পঠিত

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকি তিন নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ছেলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মনিরুজ্জামানের স্ত্রী আদুরী বেগম আশা। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেওয়া ওই প্রসূতি মাকে এখন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

বাঁধন-আশা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের দীর্ঘ আট বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হয়। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকদের পরামর্শে আদুরী বেগম আশাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অস্ত্রোপচার (সিজার) করা হয়।

চার নবজাতকের বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত। বিয়ের দীর্ঘ আট বছর পর সন্তানের বাবা হওয়ায় খুশি হলেও একমাত্র ছেলে শিশুর মৃত্যুতে এখন তিনি কিছুটা চিন্তিত।

মনিরুজ্জামান বলেন, নিরাপদ প্রসবের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে আমি আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে রংপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছি। গত ১ মার্চ আলট্রাসনোগ্রাম করে একসঙ্গে চার সন্তান গর্ভধারণ করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার স্ত্রী আশাকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে ছেলে নবজাতকটি মারা যায়। তবে বাকি তিনজন ভালো আছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া আমার স্ত্রীকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনি বিভাগ) ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গর্ভধারণের আট মাস পর এই চার নবজাতকের জন্ম হয়। এর মধ্যে শুধু ছেলে নবজাতকটির ওজন ছিল মাত্র সোয়া কেজি। বাকি তিন কন্যা নবজাতকের ওজন ও গঠন ঠিক রয়েছে। চার নবজাতকের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, বাকিরা সবাই সুস্থ আছে।

হাসপাতালে কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার তাহসিনা বিনতে আবেদ বলেন, মা আশা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে তাকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দুই একদিন পর তার শরীরের অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে। একসঙ্গে চার সন্তানের সিজারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের চিকিৎসকরা সেটি সুন্দরভাবে করতে পেরেছেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102