শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুরের যোগিনীমুড়া নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেলা সভাপতি আলমগীর আল আমিন হারুনসহ গ্রামের সাধারন মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে শেরপুর পৌর শহরের খরমপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুরের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে যোগিনীমুড়া গ্রামের সর্বস্তরের প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে মানবাধিকার কর্মী আলমগীর আল আমিন হারুন বলেন, গত ২৯ জুন নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছামিদুল হক কেনার মৃত্যুকে জড়িয়ে আমিসহ ২৫ জনকে নামীয় ও আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আমাকে হয়রানি, নির্যাতন করার জন্য ফাঁসানো হয়েছে। কেনা মৃত্যুর ঘটনার সাথে আমার কোনরূপ সংশ্লিষ্টটা নেই, এমনকি বাদী পরিবারের সাথে আমার কোনো প্রকার শত্রুতা নেই। বাদিপক্ষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের প্ররোচনায় আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।
হাসিনা সরকারের শাসনামলে দায়ের করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত এ মামলায় আসামি করে আমাকে বাড়িঘর ছাড়া করেছে। বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেলে বাদি পারভেজ মিয়া ও তার দলবল আমার বাড়িঘর, মাছের ঘের, বাড়িতে থাকা ঔষধের দোকান এবং অন্যান্য আসামিদের বাড়িঘর লুটপাট করে।
এমনকি আমার ও অন্যান্য আসামিদের জায়গা সম্পত্তি বেদখল করে আসছে এবং আমাদের ফাঁসানোর জন্য নতুন নতুন ফাঁদ আঁকছেন বাদিপক্ষ। প্রায় ৩৫টি পরিবারের চারকোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গেছে বাদিপক্ষ।
এমতাবস্থায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমিসহ যেসকল সহজসরল গ্রামের কৃষকদের নামে দায়ের করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা হতে অব্যহতি দানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মানববন্ধনে সচেতন নাগরিকরা বলেন, আলমগীর আল আমিন হারুন একটি মানবাধিকার সংস্থার জেলার সভাপতি হিসেবে সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছেন। জেলায় নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা দিয়ে আসছেন। নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছিল, হাসিনার দোসরদের নির্দেশে। কেনা মিয়ার মৃত্যুতেও তাকে একই কায়দায় ফাঁসানো হয়েছে।
হারুনসহ গ্রামের সাধারণ মেহনতি মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা থেকে তাদের অব্যবহতির দাবি জানান বক্তারা। এমনকি তদন্ত করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সত্তরোর্ধ হাবিবুর রহমান কালু মিয়া, গৃহবধূ শেফালি বেগম, অজুফা আক্তার, আসমা বেগম, শিল্পী আক্তার, নুরুন্নাহার বেগম, হাফসা খাতুন, শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিজবুল আলম হিজেল, সচেতন নাগরিক সমাজের মনিরুজ্জামান মনির, এম মিস্টারসহ প্রমুখ।
এব্যাপারে জানতে মামলার বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।