বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যায় স্ত্রী মিন্নির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, অন্য নারীরা বিপথগামী হবেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। সকালে হাইকোর্টে পৌঁছায় মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স। খালাস চেয়ে মিন্নির ওকালতনামাও আইনজীবীর কাছে জমা দিয়েছেন তার বাবা। তার আইনজীবী জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করবেন তারা।
মিন্নির পরিকল্পনাতেই স্বামী রিফাত শরীফকে হত্যা করা হয়, কোপানোর সময় বাঁচানোর নাটক করেছিল মিন্নি। আলোচিত এ মামলার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় রোববার (০৪ অক্টোবর) সকালে পৌঁছায় উচ্চ আদালতে।
রায় পৌঁছার আগেই হাইকোর্টে হাজির মিন্নির বাবা। সঙ্গে এনেছে মিন্নির স্বাক্ষরিত ওকালতনামা। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ কোরে তার বাবা জানান, তার মেয়ে কনডেম সেলে খুব কষ্টে আছেন। মিন্নিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে আবারও দাবি করেন তিনি।
মিন্নির বাবা বলেন, মিন্নির প্রতি অবিচার করেছে। এ জন্যই হাইকোর্টে আসা। আশা করি, হাইকোর্ট ভালো ফলাফল দেবে।
নিয়ম অনুযায়ী আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। তার আইনজীবী জানান, এ সময়ের মধ্যেই আবেদনটি জমা দেয়া হবে।
মিন্নির আইজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, মিন্নির মামলায় সবেমাত্র আজকে কাগজ পেয়েছি। দ্রুতই আপিল ফাইল করতে যাচ্ছি।
কারা সূত্রের তথ্যমতে, দেশের কারাগারে বর্তমানে ৪৯ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নারী আসামি কনডেম সেলে আছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নারী আসামির দণ্ড কার্যকরের নজির নেই।