যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত বর্জ্য অপসারণে এলাকাবাসীর সাহায্য দরকার। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যত্রতত্র পশুর বর্জ্য ফেলবেন না। প্রত্যেককে পলি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলবেন। আমাদের প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের সহায়তার অনুরোধ করছি।’
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ অনুরোধ জানান তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেও আসতে পেরেছি। আগে বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আটকে যেতাম। কিন্তু আজকে উত্তরা থেকে আসার সময় দেখেছি, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে রাস্তায় সে পরিমাণ জলাবদ্ধতা নেই। পানি নেমে গেছে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানি দিয়ে অনেকেই বাড়ি চলে যাবেন। বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, যেসব পাত্রে পানি জমে তা উল্টে রেখে বাড়িতে যাবেন। এটা সবার জন্য সহায়ক হবে। অবশ্যই ছাদে যে পাত্র আছে সেখানে বৃষ্টির পানি জমতে পারে সেটা উল্টে যাবেন। আমাদের সব কর্মকর্তা মাঠে থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আপনারা সহযোগিতা চাইলে দ্রুত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেবো।’
প্রধান ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ডিএনসিসির মেয়রের দুই সন্তান শেখ ফজলে নাওয়াল ও শেখ ফজলে নাশওয়ান অংশ নেন।
প্রধান ঈদ জামাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতিসহ উপস্থিত সবার সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।