যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত ৮ জন এবং উপসর্গ ছিল ৬ জনের।
এছাড়া এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫০ জনের। ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্তের এই সংখ্যা পাওয়া গেছে।
এছাড়া যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাপসাতালেও বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগীর চাপ। ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২০২ জন।
শনিবার যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারেই ৭১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৫০ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজে ৪ জনের নমুনা পাঠানো হলেও সবগুলোই ফলাফল নেগেটিভ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় জিন অ্যাক্সপার্ট ও র্যা পিড এন্টিজেনে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। আক্রান্তের হার ৩৫ ভাগ।
এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৬২। জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন।
এদিকে করোনা রোগীর চাপ আরও বেড়েছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। এখানে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬ জন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। যশোর হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেডজোনে এখন ভর্তি আছেন ১৩০ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা ১১৮। তবে করোনা রোগের উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে ভর্তি রয়েছেন ৭২ জন। এখানে শয্যা সংখ্যা ২২। অর্থাৎ রেড ও ইয়েলো জোনে মোট ১৪০টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তি রয়েছে ২০২ জন। হাসপাতালের রেডজোনে ২৩ শয্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও রয়েছেন।