যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল হিল) জো বাইডেনের নির্বাচনে জয়ের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলছিল। ভবনের সামনেই বুধবার কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক কংগ্রেস অধিবেশনের বিরোধিতা করে ওয়াশিংটনে জড়ো হন। সেই সমাবেশের বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলের দিকে পদযাত্রা করতে বলেছেন। পরবর্তীতে তারা ঝড়ের গতিতে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
সমর্থকেরা সিনেটের চত্বর ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অফিসের দিকে ধাবিত হন। এটিকে মার্কিন গণতন্ত্রের অন্ধকার মুহূর্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটল হিলে হামলা ও ভাংচুর করলে গুলিতে এক নারী নিহত হন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা নিরাপত্তা রেখা লঙ্ঘন করলে ক্যাপিটল হিল অবরুদ্ধ করে দেয়।
পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পুলিশ পাহারা দিয়ে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তাকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত আইনপ্রণেতাদের তাদের আসনের নিচ থেকে গ্যাস মাস্ক বের করে পরার পরামর্শ দেয়।
মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক বলে বিবেচিত ক্যাপিটল হিল। ট্রাম্পের সমর্থকেরা তা দখল করে নিয়েছিল। এতে অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হয় কংগ্রেস।
এরপর ক্যাপিটলকে ট্রাম্প সমর্থকদের দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে। এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। হলওয়েগুলো দিয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের ছোটাছুটি ও বিভিন্ন দফতরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি ও তাণ্ডবে হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলার এক নজিরবিহীন দৃশ্যের অবতারণা হয়।