সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে রবিবার দুপুর থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। তারা শাহবাগ, প্রেসক্লাব, সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শিক্ষার্থী ও জনতা যখন কর্মসূচী পালন করছিলেন তখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাত্মতা জানান রিকশাচালকরা। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ও হাততালির মাধ্যমে এই সমর্থন জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় রিকশাচালকদের আন্দোলনে এমন সমর্থনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
দেশ রূপান্তরের এই প্রতিবেদক ঢাকার বিভিন্ন রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চেষ্টা করেন আন্দোলনে তাদের এই সমর্থনের কথা। তারা জানান, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে তাদের একটা অংশ জানিয়েছেন কোনো ভাবনা থেকে নয় একজন আরেকজনে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সমর্থন জানান তারা।
শনিবার সন্ধ্যায় কর্মসূচী শেষে যখন আন্দোলনকারীরা টিএসসি হয়ে শাহবাগের দিকে ফিরছিলেন তখন দেখা যায় ১০-১২ জন রিকশাচালক হাততালি দিয়ে ও স্লোগান দিয়ে আন্দোলনে সমর্থন জানাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় রিকশাচালক জহিরুলের সঙ্গে। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা তো গরিব মানুষ তাই আমাদের আবেগ কাজ করে বেশি। অল্প বয়সের ছেলে মেয়েগুলোকে আমাদের সামনে পুলিশ গুলি করল কেন, এতগুলো মানুষ মারা গেল।
রিকশাচালক সবুজ মিয়া বলেন, বাজারে গিয়ে জিনিস কিনতে পারি না, যে আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। সরকার গরীবের কথা চিন্তা করে না, তাই আমরা ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন জানাই।
তবে এমন কয়জন রিকশাচালক পাওয়া যায় যারা কোনো রাগ ক্ষোভ থেকে নয় অন্যরা সমর্থন দিচ্ছেন দেখে নিজেরাও সমর্থন দিচ্ছেন।
টিএসসি ও শাহবাগ এলাকায় রিকশাচালদের স্লোগান দিতে দেখা যায়, ‘গুলি করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরা।