রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তরুণী রুহি আক্তার (১৯) ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে। এখনো তার মৃত্যুর পৃথক কারণ জানা না গেলেও পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই তরুণী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রুহি আক্তারের সঙ্গে রংপুর নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের মার্চে ওই তরুণী ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) আবারও রুহি আক্তার আকাশের সঙ্গে দেখা করতে ঝিনাইদহ থেকে আবারো রংপুরে চলে আসেন। একপর্যায়ে আকাশের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে তরুণী। শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে রবিবার দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রুহির মরদেহ সেখানে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে রুহির স্বজনদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ফ্যানে ফাঁস দিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছে। দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।