ads
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের, শিবিরের নামে নথি নেই: ফরহাদ

সৃষ্টিবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে। সে কারণে প্রথমে তারা সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। তারপর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। এমনও হয়েছে, কেউ নামাজ পড়ছে এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছে, আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙে গেছে। কারণ, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম। দীর্ঘ ৫ বছর আমাদের যারা পর্যালোচনা করেছেন, তারা এখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

গত কয়েকবছর কেন গোপনে রাজনীতি করেছিলেন? জানতে চাইলে ফরহাদ বলেন, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছিল। এরপরও যেখানে সম্ভব হয়েছে, সেখানে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে। কিন্তু ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ৫৬ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে গুম করা হয়। , ক্রসফায়ার দেয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে দেয়; কেউ কিছু বলে না। এমন পরিস্থিতিতে তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছো না- এই প্রশ্ন যৌক্তিক নাকি তোমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই প্রশ্নটি যৌক্তিক?

তিনি আরও বলেন, আমাদের শত শত দায়িত্বশীল এখনো গুম রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী কয়েকটি কমিটির সদস্যদের ক্রসফায়ার দেওয়া হবে এবং পরের কেউ হত্যার ভয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না- (এমন পরিস্থিতিতে) একটি মজলুম সংগঠনকে এই প্রশ্ন করা আরও বড় জুলুম।

৯ দফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনটা সকল মানুষের ছিল। বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। ছাত্রশিবিরও তার রিসোর্স নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে- এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

ফরহাদ আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যে ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার প্রত্যেকটির বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা সবাই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা ছাত্রশিবির থেকে তা দেব।

পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যাঁ বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। রগ কাটা লিখে গুগলে সার্চ করলে দেখা যাবে সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে। শিবিরের নামে কোনো নথি পাওয়া যাবে না। ফ্যাসিবাদ যে বয়ান তৈরি করেছে, তার বিরোধিতা কেউ করতে পারেনি। আমাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। জরিপ করলে ছাত্রশিবিরের বিষয়ে ৯০ শতাংশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।

ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফরহাদ বলেন, ছাত্রলীগের কমিটির কিছু প্রক্রিয়া আছে। আমি কখনো সেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করিনি। কখনো সিভি জমা দিইনি। তবুও কেন আমাকে পদ দিল, সে প্রশ্ন ছাত্রলীগকে করা উচিত। বিতর্ক সংসদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমার ছবি দেখা গেছে। আমি কেবল আয়োজক হিসেবে ছিলাম।

ছাত্রশিবির সম্পাদক আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাজনীতি নিয়ে এখন যে চিন্তাগঠন আছে, এটা গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী বয়ানের আউটপুট। তারা দেখেছে, ছাত্ররাজনীতি মানে নেতাকে প্রটোকল দেওয়া, হলে আসন বণ্টন করা, ভিন্নমতকে নির্যাতন করা এবং কেউ কথা বলতে না পারা। কিন্তু আমূল সংস্কারের পর এসব পরিবেশ পরিবর্তন হলে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি গ্রহণ করবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102