ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

রবিউল আউয়ালের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ৫৩ বার পঠিত

এ পৃথিবী তখন পাপের অন্ধকারে ভরে গিয়েছিল। মানবতা বিদূরিত হয়ে পশুত্বের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়েছিল। মানবজাতি পঙ্গপালের মতো জাহান্নামে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। গোটা বিশ্ব যেন জাহেলিয়ার ছোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। ঠিক সেই সময়ের কোনো এক রবিউল আউয়াল মাসে আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁর সৃষ্টির ওপর দয়া করে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে ধরার বুকে রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। তাঁর আগমন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। মুমিন, কাফির, জিন-ইনসান সবার জন্য তিনি রহমত। তাই ইসলামের ইতিহাসে রবিউল আউয়াল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। জন্ম তাঁর যেমন এ মাসে, আবার এ মাসেই তিনি তাঁর ওপর অর্পিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে নিজ প্রভুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণ করেন এবং মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। এ মাসেই তিনি মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। সুতরাং একদিকে এ মাসে রসুল (সা.)-এর শুভাগমন বিশ্ববাসীকে পুলকিত করে, অন্যদিকে এ মাসে তাঁর প্রস্থান মুসলিম বিশ্বকে শোকাভিভূত করে। তাই এ মাসটি একই সঙ্গে শোক ও আনন্দের। সে কারণেই এ মাসের আলাদা একটি মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে অন্যান্য মাসের ওপর।

সংগত কারণেই এ মাসের দাবি হলো, নবী (সা.)-এর মহব্বত-ভালোবাসা ও তাঁর স্মরণে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়া, নেক ও কল্যাণমূলক কাজ দিয়ে জীবনটাকে সজ্জিত করা। আল্লাহ-প্রদত্ত নিয়ামতগুলোর শুকরিয়া আদায় করা। আর কিছু না হোক অন্তত এ মাসে সুন্নাতবিরোধী কোনো কাজ না করা, বিদাত ও অপছন্দনীয় বিষয় থেকে বিরত থাকা। নবী (সা.)-এর কষ্টের কারণ হয় এমনসব কাজকর্ম থেকে দূরে থাকা। তাঁর আনীত শরিয়তের সাংঘর্ষিক ছোট ছোট কাজগুলোকেও অপছন্দের দৃষ্টিতে দেখা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এসব ব্যাপারে অনেক নামধারী নবীপ্রেমিককে ধর্মের ব্যাপারে দুঃসাহস প্রদর্শন করতে দেখা যায়। তারা মূলত ধর্মের নামে অধর্ম ছড়ায়। ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ডগুলোকে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে প্রচার চালায়।

মহানবীর আগমনে একজন মুসলমান সব সময় কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আনন্দিত থাকবে, আনন্দ প্রকাশ করবে এটা তার কর্তব্য। তবে যুগে যুগে প্রতি বছর যখনই আল্লাহর নবীর আগমনের এ মাস আসে তখন আল্লাহর নবীপ্রেমিকের মাঝে আনন্দ প্রকাশ, নতুন উদ্দীপনা শুরু হয় এবং আনন্দ প্রকাশের ধরন ও কাল পাত্রভেদে বিভিন্নরূপে রূপান্তরিত হয়। আনন্দ প্রকাশের বাহ্যিক রূপ হলো নবীজির জীবনাদর্শ নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা-সমাবেশ করা। আর তার আধ্যাত্মিক রূপ হলো তাঁর নির্দেশনা, পয়গামকে ধারণ করা। নিজের জীবনকে নবীর সুন্নাত অনুযায়ী গড়ে তোলা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি অবস্থায়, লেনদেন, বিয়ে-শাদি, বেচাকেনা, খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম, হাসি-কান্নাসহ সর্বাবস্থায় প্রিয়নবীর সুন্নাত অনুযায়ী জীবনযাপন করাই নবীর প্রতি ভালোবাসা। শুধু মুখে মুখে নবীর ভালোবাসার দাবি করলে ভালোবাসা হয় না। নবীর সুন্নাত মোতাবেক জীবনযাপন করলে তাঁকে ভালোবাসা হয়।
লেখক : মুফতি নূর মুহাম্মদ রাহমানী,
জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম বাগে জান্নাত, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102