রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছেন। দুই সিটির প্রায় ১৯ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পশু কোরবানি দেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়। এদিন দুপুর ১টার দিকে দুই মেয়র বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম উদ্বোধন করলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজে নেমে পড়েন।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বৃষ্টির মধ্যেই দুই সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী একযোগে কাজে নামেন।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৮ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ/কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫০৫২০৮৪
ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রভুক্ত এলাকায় কোরবানির পশুর হাটগুলো এবং কোরবানীকৃত পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকির লক্ষ্যে একটি তদারকি পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে কোরবানিদাতাদের মধ্যে বিনা মূল্যে সরবরাহের লক্ষ্যে এক লাখ ৩০ হাজার চটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। পশুর হাটে পশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে অসুস্থ পশু নির্বাচন এবং চিকিৎসা দিতে প্রতিটি পশুর হাটের জন্য একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার জন্যে ১১০ গ্যালন (৫ লিটার) স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির নিজস্ব ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি (পে-লোডার ১০টি, বেকহো-লোডার ৪টি, স্কিড লোডার ৯টি, টায়ার ডোজার-৭টি, চেইন ডোজার ৩টি, ডাম্প ট্রাক-৯৬টি, কম্পেক্টর- ৫৩টি, পানিবাহী গাড়ি-৯টি ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত হাতগাড়ি, বেলচা, কাটা ও টুকরিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল ওয়ার্ড পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডিএনসিসি এলাকার বর্জ্য অপসারণের জন্য ৬টি এস্কেভেটর, ৪টি চেইন ডোজার, ২টি ট্যায়ার ডোজার ও ১টি পে-লোডার নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও বর্জ্য অপসারণের জন্য দুই সিটি করপোরেশনে সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করেছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএসসিসির প্রায় ৯ হাজার ও ডিএনসিসির ১০ হাজার কর্মী কাজ করছেন।