কথায় আছে, মর্নিং শোজ দ্য ডেইজ। জানি না পরের সময়কাল কেমন কাটবে? তবে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম সকালে সরেজমিন রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল একদম চোখে পড়েনি। মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের ব্যারিকেড।
লোকজনকে থামিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে, কেন তিনি ঘরের বাইরে? নতুন বছরে তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশন স্টুডিওতে বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সুযোগে রাজধানীকে দেখলাম হার্ড লকডাউনের প্রথম সকালে। রাজধানীর প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকাটুলি মোড়, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট আর শাহবাগ হয়ে সোনারগাঁও মোড় সর্বত্র কড়া নজরদারি দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি চোখে পড়েছে। তবে তা পুলিশ থামিয়ে বের হওয়ার যৌক্তিকতা পরীক্ষা করছে।
নববর্ষের এ দিনটিতে যে রমনা পার্ক ঘিরে লাখো মানুষের ঢল নামে তা নীরবতার কার্পেটে ছেয়ে আছে। বৈশাখের সূর্যস্নানে যেখানে লোকে লোকারণ্য থাকে তাতে অসীম শূন্যতা লক্ষ্য করেছি। শাহবাগের মোড়ে দু-তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে কথা বলছে পুলিশ। মোড়ে মোড়ে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেড। সাতরাস্তায় বেশ কিছু গাড়ি আটকে রেখেছে পুলিশ।
তবে প্রথম দফায় যে ধরনের বিধিনিষেধ পালিত হয়েছে দেশজুড়ে তাতে হতাশা বেড়েছে। নজিরবিহীন ঢিলেঢালা বললেও কম বলা হবে শেষ হওয়া ৯দিনের সেই বিধিনিষেধ। এক সহকর্মী ব্যাঙ্গরস মিলিয়ে সেই লকডাউন নিয়ে বলেছে, এ ধরনের লকডাউনকে ‘লিকডাউন’ বলা যেতে পারে।
বিশেষ করে শেষ নয় দিনের একেবারে শেষদিন লকডাউনে ব্যাংক খোলা আর বন্ধ রাখা নিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ হলো তাতে সাধারণ গ্রাহকরা ভোগান্তির চরম সীমায় ঠেকেছিল। সকালে ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তে মানুষ তরল অর্থের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে দিন শেষে জানতে পারে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সর্বাত্মক লকডাউনের সামনের সময়গুলো কেমন কাটবে তার ওপরই নির্ভর করছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফরেখার উল্লম্ফন হবে না নিচে নামবে।