রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৬টি জেলায় কালবৈশাখী ধেয়ে আসছে। ইতোমধ্যে দেশের আটটি জেলায় কালবৈশাখী ও দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। আজ রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হতে পারে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে এই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।
কালবৈশাখীর সময় দেশের নয়টি জেলার নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ওই জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। আর সাতটি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আগামীকাল শনিবারও দেশের ওই এলাকাগুলো দিয়ে দিনে মৃদু দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দাবদাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা আছে। এতে অন্তত বিকালে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আজ রাতের মধ্যে দেশের ১৫-১৬টি জেলায় কালবৈশাখী হতে পারে। এরই মধ্যে আটটি জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে। আগামীকালও একই ধরনের ঝড়–বৃষ্টি হতে পারে।
এ অবস্থায় আগামীকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটি, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা দমকা আকারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী রাববার (১ মে) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। বর্ধিত পাঁচ দিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে আসবে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাতক্ষীরায় ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে।