দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না; সে তালিকায় বরাবরই আলোচিত পরীমনি। অভিনয় জগতের কাজের বাইরে দাম্পত্য কলহের কারণে বছরজুড়েই খবরের শিরোনামে ছিলেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। এবার স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন এই নায়িকা।
রাজকে সোমবার ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। তালাকের কারণ হিসেবে তিনি জানান, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি। আর এজন্য ১৮নং কলাম অনুযায়ী বিবাহবন্ধন ছিন্ন করতে চান পরী।
নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাজ-পরী। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর দিন ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে শরিফুল রাজ-পরীমনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ঘরে আসে ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
কিন্তু সেই বিয়ে আর বেশি দিন টিকল না। মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ না নেওয়া ও মানসিক অশান্তির অভিযোগ এনে রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটালেন পরী।
‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রেমের পর বিবাহবন্ধনে জড়ানো রাজ-পরীর বিচ্ছেদের বিষয়ে সিনেমাটির নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, রাজ-পরীর ব্যক্তিগত জীবনের কোনো বিষয় সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাদের সঙ্গে আমার পেশাদারি সম্পর্ক। এর বাইরে কিছু নেই।
আরও পড়ুন: তালাকের বিষয়ে যা বললেন পরীমনির আইনজীবী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রিয় এই নির্মাতা বলেন, সিনেমার শুটিং সেট থেকে তারা সম্পর্কে জড়িয়েছে। এখানে আমার তো কোনো ভূমিকা ছিল না।
তাদের বিচ্ছেদে আপনার খারাপ লাগছে কিনা- এমন প্রশ্নে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বললেন, ‘নো কমেন্টস’।
এদিকে শোবিজ অঙ্গনে পরীমনির ‘মা’ হিসেবে পরিচিত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিচ্ছেদের খবর আমিও সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। এ বিষয়ে আজ (বুধবার) সকাল থেকে পরীমনির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে ফোনে পাইনি। পরীর সঙ্গে আমার সবশেষ কথা হয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
পরীমনির বিচ্ছেদের খবরে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নির্মাতা চয়নিকাও বললেন, ‘নো কমেন্টস’।