ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত চুকিন পাভেল (৫৯) ও টলমাচেফ ভায়াচেম্লভ (৫০) নামের দুই রাশিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাভেল এবং সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে ভায়াচেম্লভের মৃত্যু হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২টি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের মরদেহ নিজ দেশে পাঠানো হবে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চুকিন পাভেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ‘টেস্ট রোসেম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের নতুনহাট মোড়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিনসিটির একটি কক্ষে থাকতেন। শুক্রবার রাত তিনটার দিকে তাঁর ফ্ল্যাটের কক্ষে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দুই সহকর্মী। পরে গ্রিনসিটি ও রূপপুর প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
অপরদিকে ওইদিন রাত দুইটার দিকে ভায়াচেম্লভ গ্রিনসিটি আবাসিকের ১২ নম্বর ভবনের একটি কক্ষে থেকে ১৪ তলায় ওঠে। পরে নিচে নামার সময় সে সিঁড়িতে পা ফসকে পড়ে যায়। এসময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রূপপুর প্রকল্পে রাশিয়ানদের মালিকানাধীন সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএমইউ-১ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে ইন্সটলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে, পাভেল হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভায়াচেম্লভ সিঁড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়।’