দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চলমান ছুটিও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৯ মে পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে, কওমি মাদ্রাসা খুলে দিলেও নতুন করে বাড়ানো ছুটিতে দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা ২৯ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (১৬ মে) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আগামী ২৩ মে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে না বলে শনিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমকে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তাই ২৩ মে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।