চলমান লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ এবং আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন রোববার (২৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সেসব মামলার জামিন এবং সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে জামিন ও আদালতের সব ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশের কার্যকারিতা দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে সরকার প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে। গত ৫ এপ্রিল রাতে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এসব বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ এপ্রিল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, হাই কোর্টের চারটি বেঞ্চ চালু থাকবে। আর মুখ্য বিচারকি হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে, তবে সব অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার কথা জানানো হয়। এর আগের দিন অর্থাৎ গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিকে সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে বলা হচ্ছে। এ সময়ে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।