বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় লোহাগাড়ায় এক সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেছে ইউপি সদস্য ও তার অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আহতরা হলেন দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক মাসুম (২৮) ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. শহিদ (২৫)।
এরমধ্যে শহিদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব বিচারপ্রার্থী সাত্তার নামের এক লোককে মারধর করে। সেখানে সম্ভবত বিচারপ্রার্থী দুই-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আমরা দুইটা মোটরসাইকেল করে ৪ জন লোহাগাড়া উপজেলায় যাচ্ছি। পথে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের নেতৃত্বে সিএনজি অটোরিকশা ৩ থেকে ৪টি ও ১২ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে তার অনুসারীরা আসে। আমি অপরাধ করেনি, যার কারণে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তারা পালিয়ে গেছে। আমি আর শহিদ দাড়িঁয়ে ছিলাম, তারা আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন। আমি যতটুকু খবর নিয়ে জেনেছি, আহত মাসুমের মুখে আঘাত করা হয়েছে। আরেকজন আঘাতপ্রাপ্ত তিনি কয়েকবার বমি করেছেন। বুকেও একটু আঘাত আছে। বমি করায় সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেলে ফাইনাল বলা যাবে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিচার নিয়ে দুই-পক্ষের কথা কাটাকাটি জেরে হামলা করা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক মাসুমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
এদিকে, দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক মাসুমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম। ফোরামের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি এস এম রানা ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুমের ওপর হামলার ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।