বউয়ের ছোট বোনকে (১৬) নিয়ে উধাও দুলাভাই রনি খান (২৫)। এ ঘটনায় বোনের সুখের কথা বিবেচেনা করে স্বামীকে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী ফাহিমা আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্বচিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের রফেজ খানের ছেলে রনি খানের সঙ্গে পূর্বচিলা গ্রামের ইউসুফ প্যাদার মেয়ে ফাহিমার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির পরিবারে তিন বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালে অর্থ সংকটে পরে ফাহিমা কাতার যান।
এই সুবাধে তার স্বামী রনি খান ছোট শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত বছরের জুলাই মাসে ফাহিমা বাড়িতে আসেন। প্রতিবেশীদের মুখে স্বামী রনি খানের সঙ্গে ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনেও স্ত্রী ফাহিমা আমলে নেননি।
রোববার রাতে স্বামী রনি খান শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান। স্বামীর এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার মঙ্গলবার তাকে তালাক দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ড সইতে না পেরে স্ত্রী ফাহিমা তালাক দিয়েছেন। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফাহিমার এমন সাহসী কাজের সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফাহিমা আক্তার বলেন, স্বামী রনি খান ও ছোট বোন যখন সুখ চেয়েছেন তাদের সুখ দিয়েছি। ছোট বোনকে বিয়ে করে স্বামী যখন সুখে থাকতে চেয়েছে আমি তাকে তালাক দিয়ে তাদের জীবন থেকে সরে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি দোয়া করি তারা সুখে-শান্তিতে থাকুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেব।
স্বামী রনি খান শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যালিকা তার সঙ্গেই আছেন।
স্ত্রী তাকে তালাক দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি আমাকে আমার স্ত্রী তালাক দিয়েছেন।
আমতলী পৌরসভার বিবাহ রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী রনি খানকে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার তালাক দিয়েছেন। আমার অফিসেই তালাক সম্পন্ন করেছেন তিনি।
আমতলী থানার ওসি মো. আলিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।