অনেকেই আছেন দুধ খেতে একেবারেই পছন্দ করেন না। তবে নিশ্চয় জানা আছে, দুধের উপকারিতা সম্পর্কে। দুধ এবং দুধের সর যুগ যুগ ধরতে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বের সেরা সুন্দরী মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা নাকি দুধ দিয়ে গোসল করতেন। মুখে মাখতেন দুধের সর। এটিই নাকি তার রূপের রহস্য ছিল।
শীতের এই সময়টাতে ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয় অনেক বেশি। ফলে ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলতে পারে। দেখা দিতে পারে ত্বকের নানান সমস্যা। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে দুধ। আর এর সঙ্গে মেশাতে হবে গুড়। গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা কমবেশি সবারই জানা।
সঠিক পরিমাণে গুড় খাওয়া ত্বকের জন্য খুব উপকারী! দুধে প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, আবার আয়রন ও ভিটামিন গুড়ের মধ্যে থাকে। তাহলে আসুন জেনে নিই গুড় ও দুধ পান করার উপকারিতা-
> গুড় খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হয় না। এই কারণে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ভালো থাকে। যার ফলে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয়। আপনার ডায়েটে সামান্য গুড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
> যারা মুখে রিঙ্কেলস, ফুসকুড়ি এবং পিম্পলস এর মতো সমস্যায় ভুগছেন। তারা এটি খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে, খুব বেশি গুড় খাওয়ার ফলে মুখে পিম্পল হতে পারে। গুড়ে আয়রন এবং ভিটামিন রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। প্রতিদিন গুড় খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর হয় যা ত্বক পরিষ্কার করে। পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হয়। গুড়ে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে, যা ত্বকে সম্পূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে।
> ডার্ক সার্কেল যেকোনো মানুষের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। গুড়ের দুধ পান করলে ডার্ক সার্কেলও কমে। আপনিও যদি এই সমস্যায় পড়ে থাকেন, তবে এখন থেকে দুধ এবং গুড় খাওয়া শুরু করুন।
> সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যদি আপনার মুখ ফুলে যায় বা আপনার চোখ ফুলে যায়, তবে অবশ্যই আপনার গুড়ের দুধ পান করা উচিত। এটি সেবন করলে মুখের ফোলাভাব কমে যাবে। রক্তের অভাবের ফলে মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়। গুড় খাওয়ার ফলে এই ঘাটতি পূরণ হতে পারে।