শেখ হাসিনার শাসনামল কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার বনগ্রামে ছাত্র শহীদ আরাফাত মুন্সি, বাসুদেবপুরে শহীদ সাবিদ হোসেন ও গঙ্গারামপুরে ভ্যানচালক বাবু মোল্লার কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের সমবেদনা জ্ঞাপন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন প্রিন্স।
এ সময় বড়ইতলা বাসস্ট্যান্ড, বনগ্রাম, উজানী বাসুদেবপুর ও ডিগ্রিকান্দিতে স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র-গণআন্দোলনে গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। গণহত্যার দায়ে অবশ্যই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে। নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাট করে শেখ হাসিনা শুধু গোপালগঞ্জ নয়, সমগ্র বাংলাদেশে কলংকে পরিণত হয়েছেন। তার সমগ্র শাসনামল ছিলো কলঙ্কজনক অধ্যায়। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে ভারতের সরকারকে বাংলদেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের ডম্বুর এবং গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহে প্রতিবেশী দেশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থকে বিপন্ন করছে। বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা-মরাকে তারা কখনোই আমলে নেয় না। তিনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের উসকানিমূলক তৎপরতা সম্পর্কে গোপালগঞ্জবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, ড্যাবের ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কে এম বাবর, মুকসেদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান, তারিকুল ইসলাম রাজু, জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, অ্যাডভোকেট সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সাগর মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।