গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আওলাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪ আটক করার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেন। আর ছিনিয়ে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের ভাতশালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আওলাদুল ইসলাম শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, হত্যা মামলার আসামি আওলাদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪-এর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে লোকজন চারদিক থেকে র্যাবকে ঘিরে ফেলে এবং মারমুখী আচরণ করে। এ সময় র্যাব ও জনতার মাঝে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। নিরাপত্তা বিবেচনা করে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান নেয়। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পরিষদের পাশের বিল দিয়ে চেয়ারম্যানকে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল আলম বলেন, র্যাবের সঙ্গে এ ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনায় আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সেখানে কারা কারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের সম্পর্কে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর র্যাব-১৪, সিপিসি-১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযান পরবর্তী সময়ে কয়েক শ মানুষের সমাগম হয়। এতে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় বল প্রয়োগ করলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বিধায় কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে নজরদারি রেখেছে র্যাব।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট কলেজ ছাত্র মাহবুব ও সৌরভ হত্যা মামলার আসামি আওলাদ হোসেনকে ভাতশালা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।