শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার দু’জন হলেন- দাওধারা এলাকার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৪) ও কাটাবাড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাসেম আলী (৩৫)।
বুধবার (২৮ মে) তাদের শেরপুর আদালতে পাঠানো হবে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে, গতকাল রাতে হামলায় আহত বাসস ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান থানায় মামলা করেন। এতে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, তাঁর ভাই নূরে আলমসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৩০ থেকে ৪০ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাহাড়ে অবৈধভাবে গাছ কাটা, বালু ও পাথর উত্তোলন এবং পাশের সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারির সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। এ বিষয়ে উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হলে, প্রধান আসামির নেতৃত্বে কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে দোষীদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিকেরা জানান, গত সোমবার উপজেলার দাওধারা ও কাটাবাড়ি এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সেখানে সাংবাদিকেরা ওই এলাকায় অবৈধভাবে বালু–পাথর উত্তোলন এবং বনের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টার অবস্থান জানতে চান। এ প্রশ্ন শুনে সেখানে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা ল উপদেষ্টার গাড়ি আটকিয়ে মব তৈরি করে। পরে উপদেষ্টা তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে গাড়িবহর নিয়ে এগিয়ে যান। এর পরপরই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারী ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের ধাওয়া দিয়ে ঘিরে ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন। হামলায় সাংবাদিক বাসসের জাহিদুল খান ছাড়াও বাংলা টিভির নাঈম ইসলাম, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন বাবু চক্রবর্তী, বাংলাদেশ খবরের শাহরিয়া শাকির আহত হন।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, গতকাল মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হবে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।