শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার ৬ মাসের শিশুকে বিষ খাওয়াইয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা নং ৭১/১৮ প্রধান আসামী খালা রিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
গত ২৪ জানুয়ারি সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান আসামির রিয়ার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল শ্রীবরর্দী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের বালিয়াচন্ডি গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে রিয়া অভিনব কায়দায় সহযোগীদের পরামর্শ ক্রমে তার মামাতো বোনের ছয় মাস বয়সী শিশু সারোরকে কুলে নিয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।পরে শিশু সরোয়ার অতিরিক্ত কান্না কাটি করলে দৌঁড়ে গিয়ে মায়ের কুলে তুলে দেয় রিয়া। পরে শিশুটির মা সুমি বেগম শিশুর মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির সকলেই ছোটে আসে এবং শিশুটিকে শ্রীবরর্দী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা সহ সকলে নিয়ে যায়।
এই ফাঁকে রিয়া ও তার সহযোগী আসামিরা মাজেদা বেগম, মাহমুদুল হাসান সবুজ, আলী আকবর, রিক্তা আক্তার,সুমি বেগমের ঘরে ঢুকে খাটের সাইড বক্স খুলে সাড়ে ষোল ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।এদিকে শিশুর অবস্থা অবনতি হলে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৭ মে সুমি বেগম বাদী হয়ে রিয়াসহ ৫ জনকে আসামি করে শ্রীবরর্দী থানায় মামলা দায়ের করেন।সেই মামলার রায়ে বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টার দায়ে ৩ বছর এবং স্বর্ণালংকার চুরির দায়ে ৮ লক্ষ্য ৬২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, মামলার রায়ে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং সহযোগী অন্য আসামীদের মাজেদা বেগম, মাহমুদুল হাসান সবুজ, আলী আকবর, রিক্তা বেগমের ৫৯/২১ নাম্বার মামলাটি জজ কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
এই মামলার বাদী সুমি বেগম বলেন,আমার ৬ মাসের শিশু সারোয়ারকে বিষ খাইয়ে এমন নেক্কারজনক কাজ করে ওরা আমার সারে ষোল ভরি অলংকার চুরি করে আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ৪টি বছর কোর্টের বারান্দায় এসেছি ন্যায় বিচারের আশায়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই অন্য সহযোগী ৪ আসামীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করতে
সুমি বেগম কতৃপক্ষের নিকট সবিনয়ে আহবান রাখেন।