সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার গাবুরা ইউনিয়ন প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিজানকে গত ২০ জুন ভোরের আগে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন শ্যামনগর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল মাঝি রুহুল আমিন মালির নৌকায় সুন্দরবন বনে মধু কাটতে যান বাঘের আক্রমণে নিহত হওয়া মন্টু গাজী। কিন্তু মধু কাটতে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করলে গত ১৬ এপ্রিল ভারতের বন বিভাগের সদস্যদের কাছে তাদের নৌকা আটক হয়। নৌকা আটক হওয়ার পর তারা গহীনবনে অবস্থান নেয়, বাসায় ফেরার জন্য মন্টু গাজীকে গাছের নিচে রেখে বাকী সদস্যরা অন্য নৌকা খুজতে যায়, পরবর্তীতে এসে দেখেন মন্টু গাজীকে বাঘে নিয়ে গেছে। অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে তারা বাড়িতে চলে আসে। ঘটনার পরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিলো।
কিন্তু উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত মন্টু গাজীর ভাই আবুল হাসান পিতা সাবুত আলী গাজী দৈনিক পত্রদূতের গাবুরা ইউনিয়ন প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিজানকে ২নং আসামি করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের দাবি উক্ত ঘটনার সাথে সংবাদ কর্মী মিজানের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নায়। সংবাদ কর্মী মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে মিজানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান আনোয়ার-ই-তাসলিমা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মিজানের স্বজন ও স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করেছি ঘটনাটি নিয়ে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, বাঘের আক্রমণে নিহত মন্টু গাজীর মৃত্যুর সাথে মিজানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমরা মিজানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।