ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

শ্যালিকাকে বিয়ে করায় লাখ টাকার চুক্তিতে খুন

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৫ বার পঠিত

গাজীপুরের শ্রীপুরে নববধূকে বাড়িতে উঠিয়ে আনার দিনে খুন হওয়া অটোচালক শরিফুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পরিবারের আপত্তির মুখেও শ্যালিকা কারিমাকে (১৭) বিয়ে করার অপরাধে দুই দুলাভাই ১ লাখ টাকায় চুক্তি করে খুন করান শ্যালিকার জামাই শরিফুলকে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে দুইজন দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০) ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শরিফুল। ওই দিন বিকালে বনখড়িয়া বাজার থেকে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট বিপসট গেট সড়কে চালকবিহীন অটোরিকশাটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে অটোরিকশার পেছনে থাকা মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি মালিক মোশারফ হোসেনকে জানান রোমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

বিষয়টি অটোরিকশার মালিক মোশারফ হোসেন অটোচালকের বড়ভাই মো. সেকান্দারকে জানান। ওই দিন রাতে অটোচালক শরিফুল বাড়িতে না ফেরায় তার স্বজনরা পরদিন ১০ ডিসেম্বর সকালে অটো উদ্ধারের জায়গা থেকে সামান্য দূরে গজারি বনের ভেতর থেকে শরিফুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ওই দিনই শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত অটোচালকের বড়ভাই সেকান্দার।

মামলা দায়েরের পর শ্রীপুর থানা পুলিশ, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেন। ঘটনার সপ্তাহের খানেকের মধ্যেই ক্লুবিহীন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর পিবিআই।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ভিকটিম শরিফুল ঘটনার ১০-১২ দিন আগে জেলার জয়দেবপুর থানার এলাকার ভাওয়াল মির্জাপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের মেয়ে কারিমাকে পরিবারের অমতে গোপনে বিয়ে করেন। গত ১০ ডিসেম্বর (হত্যাকাণ্ডের পরের দিন) কারিমাকে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করে হত্যাকাণ্ডের শিকার শরিফুলের বাড়িতে নেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু কারিমার বড়ভাই খোরশেদ আলমের শ্যালক রাজিব শেখ কারিমাকে পছন্দ করত এবং পারিবারিকভাবে সেখানে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও কারিমার বড় দুই বোনের স্বামী রাকিব হোসেন ও জুয়েল রানাসহ পরিবারের সদস্যরা কারিমার বিয়েতে রাজি না থাকায় তারা নিহত শরিফুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছমত ওরফে তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে হত্যার জন্য এক লাখ টাকায় চুক্তি করে।

চুক্তি মোতাবেক নিহত শরিফুলকে সিগারেট খাওয়ানোর কথা বলে আছমত বনখড়িয়া বাজার থেকে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট বিপসট গেট সড়কের মাঝামাঝি গজারি বনের ভেতর নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আছমতসহ আরও তিনজন সিগারেট ও গাঁজা সেবন করার একপর্যায়ে শরিফুলকে চেপে ধরে মাটিতে ফেলে গলায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার হিজুলিয়া গ্রামের আ. রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫), শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে অফ্রিদি (১৯), জেলার জয়দেবপুর থানা এলাকার বাউপাড়া গ্রামের মো. নিয়ত আলীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২২), জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানা এলাকার দর্জিপাড়া গ্রামের মো. হাসানের ছেলে ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রাজিব শেখ (২২), ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার মিছিটেঙ্গী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে গাজীপুর মহানগরের সদর থানার শিকদার বাড়ি ভিমবাজার এলাকার জুয়েল রানা (২৭) ও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত শাজাহ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ (২৭) আটক করা হয়।

আসামি শফিকুল ইসলাম, মো. হানিফ ও আফ্রিদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার বনখড়িয়া গ্রাম থেকে ও রাকিব হোসেন, রাজিব শেখ, মো. জুয়েল রানাকে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি আফ্রিদি ও শফিকুলকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তারা নিজেদের জড়িয়ে ও অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার কথা বলে স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপর আসামি রাকিব হোসেন, রাজিব শেখ, জুয়েল রানা ও হানিফকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

#যুগান্তর

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102