ads
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাদারীপুরের শিবচরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক বিপিএলের উদ্বোধন: নতুনরূপে শুরু হলো জমকালো আয়োজন হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার পাঠানো চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লি বৈষম্যবিরোধী হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করা সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি পরকীয়া প্রেমের জের, জোরপূর্বক ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম অবৈধ সম্পদ অর্জন: দুদকের মামলার জালে সাবেক এমপি হেনরী দম্পতি নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিক স্কুলে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ শিল্পকলার লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ১১ বার পঠিত

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন এই সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলতে হবে। তবে উনাদের টেনে নামানোর হুমকির মধ্যে প্রায় একযুগ ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাসখানেক পর থেকেই তারা আমাদের টেনে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকারকে টেনে নামাতে গিয়েই রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে বিএনপি।

তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন বলেন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা, তখন হাসি পায়। যারা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃত করেছেন তাদের মুখে এসব শোভা পায় না। আজকে যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা ইতিহাসের খল নায়ককে নায়ক বানিয়েছিলেন, স্কুলের দপ্তরিকে তারা হেড মাষ্টার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। বিএনপিকে বলবো, এ ধরণের হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে না দিয়ে বরং নিজেদের দলকে গুছিয়ে নিজেদের ঘরটাকে সংগঠিত করুন।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সকল কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন এই সরকার কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না, তাদের বলবো পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্টোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামেও মেট্টোরেল প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নয়, তার অনেক আগেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে। সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মতো বদলে যাওয়ার অগ্রগতির গল্প যদি বিশ্ববাসীকে জানান দিতে হয় শেখ হাসিনাকে একটু সময় দিতে হবে। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভারত পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ঝড় উঠছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারেন না। বিএনপি আর তার দোসরেরা দেখেও দেখে না, শোনেও শোনে না, চোখ থাকিতে অন্ধ, কান থাকিতে বধির।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাঙালির নেতা নয়, তিনি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে একজন বিশ্বনেতা ও নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর। তিনি শুধু বাংলাদেশ সূচনা করেছেন তা নয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যখন আমরা অর্জন করি, হানাদারেরা তখন সমগ্র দেশ পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল, সমস্ত ব্রিজ কালভার্ট বিধ্বস্ত করেছিল, সেই দেশকে বঙ্গবন্ধু মুজিব পুনর্গঠিত করেছিলেন। ৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

অনেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অনেক কারণ উপস্থাপন করেন যা পুরোটাই ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পুরো ক্যানভাসটা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। বাসন্তীকে জাল পরিয়ে কাগজের পাতায় ছবি ছাপিয়ে নানা ধরণের অপবাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বাসন্তীকে যারা ছবি তুলে কাগজের পাতায় ছাপিয়েছিল তারা বাসন্তীকে কাপড় কিনে দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সেই বাসন্তিকে দেখতে গিয়ে কাপড় কিনে দিয়েছেন এবং ঘর বানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে রেকর্ড ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, তাকে হত্যা করার ৪০ বছর পর পর্যন্ত কেউ সে রেকর্ড অতিক্রম করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা সেই রেকর্ড অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বহু আগেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প শুনতো পৃথিবীর মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছিল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102