ads
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব- বেড়িবাঁধের ৪৩টি পয়েন্টে ভয়াবহ ফাঁটল

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১
  • ৫০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমেই সাতক্ষীরার উপকূলে ধেয়ে আসছে। দুপুর থেকে গুড়ি– গুড়ি বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর ও আশাশুনির কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীসহ উপকূলের সকল নদ-নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

দুপুরের গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ছাপিয়ে হু হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে।

ফলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা তাৎক্ষনিক বাঁধে মাটি ফেলে মেরামত করে সেগুলো রক্ষা করে। গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৪৩টি পয়েন্টে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবাসীকে নিরাপদে স্থানে ও সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। সুমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদেরকে উপকুলে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, উপকূলবাসীকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য জেলার মোট ১৪৫টি সাইক্লোন শেল্টার, ১৫০০ স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নগদ ৮৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব থেকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উপক‚লীয় এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি, ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কাশিমারি, মুন্সিগঞ্জসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু জার গিফারি জানান, উপকূলবর্তী এলাকার ভেড়িবাঁধের ৪৩টি পয়েন্টে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ১৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্টান প্রস্তুত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেলটিম। কোভিড পিরিয়ডে নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। এছাড়া পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮ টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাবার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সহকারি বন সংরক্ষক এমএ হাসান জানান, ইয়াস আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে উপকূলবাসীকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

©news24bd.tv

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102