সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট কারচুপি দেখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেছেন এক মেম্বার প্রার্থী।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই সময়টিতে নৌকার প্রার্থীর লোকজন এসে জোরপূর্বক নৌকায় সিল মারছিলেন। বারবার নিষেধ করার পরও তারা শোনেননি। ওই ঝামেলার মুহূর্তেই কক্ষের এক কোনায় বসে ফুটবল প্রতীকে কেউ একজন সিল মারছিলেন।
সাভারের একটি ইউনিয়নে নিজ চোখে ভোট কারচুপি দেখার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেছেন লেহাজ উদ্দিন নামে এক মেম্বার প্রার্থী। এ ঘটনায় তিনি নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই মেম্বার প্রার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট চলছিল। কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি, ফুটবল মার্কার প্রার্থী হেলাল ব্যাপারী প্রিসাইডিং অফিসারের কক্ষে এক কোনায় বসে তার মার্কায় সিল মারছেন। ঘটনাটি দেখে কান্না ধরে রাখতে পারিনি।
কারও কাছে অভিযোগ দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাভার উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এসেছিলেন, তাকে জানিয়েছি। ৩০০ ভোট বাতিল করার জন্য নাকি উনি বলে গেছেন শুনলাম। এখন বাকিটা তো না গুনলে বলতে পারব না।
এ বিষয়ে আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ওই সময়টিতে নৌকার প্রার্থীর লোকজন এসে জোরপূর্বক নৌকায় সিল মারছিলেন। বারবার নিষেধ করার পরও তারা শোনেননি। ওই ঝামেলার মুহূর্তেই কক্ষের এক কোনায় বসে ফুটবল প্রতীকে কেউ একজন সিল মারছিলেন। তবে ৮-১০টি ব্যালটে সিল মারতে পেরেছিলেন তিনি। পরে আমরা সেগুলো বাতিল করেছি।