সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বড় আন্দোলন দেখলো মিয়ানমার। আন্দোলন ব্যর্থ করতে সামরিক সরকার ইন্টারনেট বন্ধের ঘোষণা দিলেও প্রতিবাদে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমে আসে।
আন্দোলনকারীরা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ শহরের মূল রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে ফুল ও পানির বোতল দিয়ে সামরিক সরকারের আদেশ না মানতে আহ্বান জানায়।
তরুণ শিক্ষার্থী, শ্রমিকরা ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আন্দোলনকারীরা তিন আঙুল তুলে, মাথায় লাল ব্যাণ্ড পরে, বাসগুলো হর্ণ বাজিয়ে, বাসা বাড়িতে অবস্থানকারীরা থালাবাসন বাজিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলেও ব্যবহারকারীরা ভিপিএন ব্যবহার করে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সংগঠন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে আহ্বান জানায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তা জনগনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে সতর্ক করে দেয়। এদিকে টুইটার, ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সামরিক সরকারকে আহ্বান জানায়।
আন্দোলন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় নি দেশটির সামরিক শাসকরা।