আগামী ৮ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ সফলে সোমবার (৪ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন দলটির একাংশের নেতারা।
লিফলেট বিতরণের আগে পুরানা পল্টনের মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা শেষে পুরানা পল্টন মোড়, ফকিরাপুল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ও গুলিস্তানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম হুড়হুড় করে বাড়ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার মানুষের কষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। কারণ তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তারা গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করে দেশকে আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে। সংকট ঘনীভূত করেছে। জিনিসপত্রের বাজারে আগুন আর ডামি সংসদে ফাগুন। সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। সরকার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ করতে হবে, রাস্তায় নেমে দাম কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ড. ইউনূসকে আদালতের বারান্দায় ঘুরাচ্ছে, হয়রানি করছে। দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীকে ড. ইউনূসের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান ভিপি নুর।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- ‘জনগণের পকেটে টাকার অভাব নেই’। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে তিনি এমন কথা বলতে পারতেন না। আমাদের কারও পকেটে টাকা নেই। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সকল পেশার মানুষ কষ্টে রয়েছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খেয়ে এখন ঋণের জালে আবদ্ধ হতে শুরু করেছে। যে টাকা আয় করে, তা দিয়ে কারও সংসার চলে না। এই ডামি সরকারের পক্ষে নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভবপর নয়। সুতরাং এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসালম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।