কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হককে সন্দ্বীপ সরকারি হাজি এবি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস ছালাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ড. এ কে এম এমদাদুল হকের বদলির বিষয়টি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। কমিটি সেগুলো তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে। এজন্য তাকে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে বিধিবহির্ভূত ভর্তি, ভুয়া অভিযোগ দিয়ে শিক্ষকদের বেতন বন্ধ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ ও নারী সহকর্মীদের অসময়ে ফোন করে বিরক্ত করার অভিযোগে গণমাধ্যমে ‘এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তার অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি করে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের করা তদন্ত প্রতিবেদনটি কুমিল্লা সদর আসনের এমপির কাছে জমা দেওয়া হয়। তদন্তে ভর্তিতে অনিয়ম ও জালিয়াতি করে এক কমিটির বদলে আরেক কমিটি দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এছাড়া তদন্ত পরিচালনাকালে বোর্ডের এক কর্মকর্তার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে এটি উঠে এসেছে।
একাধিক নারী শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে তিনি কয়েকজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ও অশোভন আচরণ করেছেন। অ্যাডহক নিয়োগের প্রাক্কালে ডোপ টেস্টের সময় তিনি একজন নারী সহকর্মীকে বলেন, আপনি তো কুমিল্লা ক্লাবে যান, ডোপ টেস্টে আপনার পজিটিভ আসতে পারে। শিক্ষক পরিষদের এক সভায় তিনি নারী সহকর্মীদের উদ্দেশে বিব্রতকর মন্তব্য করেন। এছাড়া রাত ১১টার পর গুরুত্বহীন বিষয়ে তিনি নারী সহকর্মীদের ফোন করে বিব্রত করতেন বলে একাধিক সহকর্মী অভিযোগ করেছেন।