ads
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

সেই চিকিৎসকের সঙ্গে কি হয়েছিল পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬ বার পঠিত

সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে একজন চিকিৎসকের বাকবিতন্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মানবজমিন পত্রিকার একজন ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ এ ঘটনার ভিডিও দৃশ্যধারণ করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সাংবাদ মাধ্যম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে।

পরে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি প্রাইভেট কারযোগে এলিফেন্ট রোডের ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তার গাড়ি থামিয়ে ডাক্তারের এপ্রোন পরিহিতা জেনির পরিচয়পত্র দেখতে চান। বারবার অনুরোধ করেও তার কাছ পরিচয়পত্র দেখতে পাননি উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। জেনি জানান, তিনি পরিচয়পত্র বাসায় রেখে এসেছেন।

ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন ডাক্তার জেনি।

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।

এ সময় নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কাইয়ুম ওই নারীকে বলেন, আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেন? জবাবে ডাক্তার বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে। জবাবে ওসি বলেন, আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।

ডাক্তার তখন নিজের পরিচয় সম্পর্কে বলেন, ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না। পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।

একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ডাক্তার জেনি বলেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার। এসময় নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক। এসময় পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন? এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।

গাড়ির গ্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে তখন ওই নারী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। এ সময় ওই নারী ডাক্তার জেনি তাদের বলেন, আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা। এই কথা বলে এক উর্ধ্বতন কাউকে কল করছিলেন। ফোনে ওপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে পুলিশ তাকে হয়রানি করছে জানিয়ে ফোনটি পুলিশ সদস্যের হাতে তুলে দেন কথা বলার জন্য।

এসময় তিনি একটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ফোনে কথা বলেন ম্যজিস্ট্রেট। ওই ডাক্তার তখন তার কাছে পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। একপর্যায়ে ডাক্তারের অন্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে বিষয়টি সমাধান হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পরে ডাক্তার জেনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102